বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি জানান, এরই মধ্যে দায়ী এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সম্ভাব্য আরো কয়েকজনের দায়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা বলতে গিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘে টিলারসন সাংবাদিকদের এসব জানান বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রাখাইনে মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনে চলতি বছর অগাস্ট থেকে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নিজ এলাকা ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নির্যাতনকে নভেম্বরে ‘জাতিগত শুদ্ধি’ অভিযান বলে ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী; ওয়াশিংটন দায়ীদের ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের বিষয়টি চিন্তা করছে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন তিনি।
টিলারসন বলেন, ‘যার কারণে মিয়ানমার থেকে বিপুল দেশান্তরের ঘটনা ঘটেছে সেই আগস্ট হামলার পর থেকে হওয়া সব ঘটনা ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি আমরা; যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য এরই মধ্যে দায়ী একজনকে চিহ্নিত করেছি, সম্ভাব্য অন্যদের বিষয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
রয়টার্সকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন প্রথম পর্যায়ে সীমিত ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তবে এ নিষেধাজ্ঞায় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা যে ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন তা নতুন করে আরোপ করা যায় কি না, তাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কিন্তু মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযুক্তকারী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা সীমিত আকারের এই নতুন নিষেধাজ্ঞায় সন্তুষ্ট হবেন না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।