IQNA

খাশোগি হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার হয়নি: তুরস্ক

12:37 - December 24, 2019
সংবাদ: 2609892
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সোমবার পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরবের একটি আদালত। আরো তিনজনকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে অপরাধী কারা, তাদের নাম-পরিচয় কিছুই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তাই সৌদি আদালতের রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সৌদি আদালত আসলে ‘দোষীদেরই’ শাস্তি দিয়েছে তো? নাকি নিরপরাধ কাউকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে আসল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

খাশোগি হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার হয়নি: তুরস্কবার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এই রায় নিয়ে সোমবারই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তুর্কি সরকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তুরস্ক বলেছে, সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আদালত সোমবার যে রায় দিয়েছে তাতে ন্যায়বিচার হয়নি। তুরস্কের মাটিতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার স্বচ্ছ বিচার দাবি করেছে আঙ্কারা।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক সমাজ আশা করেছিল, আদালতের রায়ে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচিত হবে প্রকৃত ঘাতকদের বিচার হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, খাশোগির লাশের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো পরিষ্কার নয় এবং এ বিষয়টি প্রকাশ না করে সৌদি আদালত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

সোমবার সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর খাশোগি হত্যার রায় ঘোষণা করেন। এতে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দেয়া হয়। প্রসিকিউটর জানান, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই পাঁচ ব্যক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তাদেরকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের একজন উচ্চ পদস্থ উপদেষ্টাও রয়েছেন। এই হত্যা মামলায় বাকি তিনজনকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে ওই সাজাপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করেননি প্রসিকিউটর।

গত বছরের ২ অক্টোবর তালাক সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহের জন্য ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি। এরপর আর তাকে দেখা যায়নি। পরে জানা যায় সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরেই তাকে নিষ্ঠুরভাবে গলা কেটে হত্যা করেছিলো সৌদি ঘাতকেরা। তাকে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে তুরস্কে ছুটে এসেছিলো একটি টিম।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রথম থেকেই সৌদি আরবকে দুষছিলো তুরস্ক সরকার। কিন্তু প্রথম দিকে এ হত্যার দায় নিতে অস্বীকার করে রিয়াদ। প্রথম দিকে হত্যার দায় স্বীকার না করলেও খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তাকে হত্যার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে সৌদি সরকার।

সৌদি বাদশাহর কড়া সমালোচক ছিলেন নির্বাসনে থাকা ওয়াশিংটন পোস্টের ভার্জিনিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক খাশোগি। গত মার্চে আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সৌদিতে বহু বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক কারাবন্দী আছেন। দেশটিতে এখন কেউ যুবরাজ ও তার তথাকথিত সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। কারণ এ নিয়ে যে উচ্চবাচ্য করবেন তিনি আর শ্বাস নেয়ার সুযোগ পাবেন না।’  iqna

 

captcha