পশ্চিমারা মনে করেছিল যে রাশিয়া কিয়েভ সহ সমগ্র ইউক্রেন দখল করে নেবে এবং তখন রুশ বাহিনীকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর মতো দীর্ঘ ক্লান্তিকর গেরিলা যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলে শ্রান্ত ও ধরাশায়ী করে দেবে পশ্চিমারা । রাশিয়া সেটা ভালো করেই জানত । রাশিয়ার যে এক বিরাট লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের রুশ অধ্যুষিত চার অঞ্চল ইউক্রেনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও লাঞ্ছনা - বঞ্ছনা থেকে মুক্ত করা তা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের গতি প্রকৃতি থেকে বোঝা গিয়েছিল । কিন্তু পশ্চিমারা তা ঠিক মতো বুঝতে পারে নি। এ কারণেই রাশিয়া কিয়েভ দখল করে নি । বরং কিয়েভের অনেক নিকটে পৌঁছে গিয়েও সেখান থেকে সড়ে এসে ইউক্রেনের রুশ অধ্যুষিত চার অঞ্চল দখল করে তা পাকাপোক্ত ও সুসংহত করায় আত্ম নিয়োগ করে রাশিয়া এবং অবশেষে গণভোট অনুষ্ঠিত করে ঐ সব অঞ্চল রাশিয়া নিজের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় ক্রিমিয়ার মতো । ৭ বছর আগে ক্রিমিয়া অন্তর্ভুক্ত করে
নিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা অবরোধ , প্রতিবাদ ও আপত্তি করা ছাড়া আর এর বেশি কিছু করতে পারে নি।
ইউক্রেনে পশ্চিমা ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ হলে সে দিক থেকে নিজেকে অনেকটা নিরাপদ করতে পারবে রাশিয়া নিজেকে এ চার অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ।
এখন রাশিয়া ধীরে সুস্থ্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে পারবে । বরং ইউক্রেনকে আক্রমণাত্মক যুদ্ধ করতে হবে গেরিলা যুদ্ধের পরিবর্তে । আর রাশিয়া এভাবে পশ্চিমাদেরকে ইউক্রেনে দীর্ঘ মেয়াদি ক্লান্তিকর সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে রেখে পশ্চিমা অর্থনীতির দুরবস্থা আরো বাড়িয়ে দেবে । কিয়েভ দখলের মতো কৌশলগত ভুল সিদ্ধান্ত নিলে দীর্ঘ মেয়াদি ক্লান্তিকর গেরিলা যুদ্ধের ফাঁদে পড়ত রাশিয়া । বরং এখন ইউক্রেন ও ন্যাটোই এ ধরণের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে । আর এ বিষয়টা আতিককে বলেছিলাম ইউক্রেনে রাশিয়ার এ বিশেষ সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের কিছু দিন পরে।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান