বার্তা সংস্থা ইকনা: এ দুর্ঘটনা গতকাল (২য় জুলাই) তায়েফ ও রিয়াদ শহরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ঘটেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু পরিলক্ষিত হয়েছে এবং তারা সকলের মিশর এবং সুদানের অধিবাসী।
এছাড়াও শুক্রবার (১ম জুলাই) ওমরাহ হজ পালনকারীদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে হাজিদের মধ্যে চাপাচাপি সৃষ্টি হয়। আর এরফলে ১৮ জন হাজি আহত হয়।
মক্কার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষণা করেছে, এই দুর্ঘটনার কারণে অনেক হাজির নিশ্বাসের সমস্যা হয়েছে এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বলাবাহুল্য, গতকাল (১ম জুলাই) রাতে আহলে সুন্নতের দৃষ্টিতে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাত্র ছিল। আর এজন্য মসজিদুল হারামে তারাবি নামাজ আদায়ের জন্য ৭ লাখ ৫০ হাজারের অধিক মুসল্লি এক সাথে উপস্থিত হয়। মুসল্লিদের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গত বছর সৌদি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও অবহেলার কারণে প্রায় ২৩০০ হাজির জীবন হারাতে হয়েছে। অথচ সৌদি কর্তৃপক্ষ গত বছর মিনা দুর্ঘটনায় হাজিদের নিহতের সংখ্যা ৭০০ ঘোষণা করেছে এবং এখনও বিভিন্ন মিডিয়ায় এই পরিসংখ্যানের কথাই বলে আসছে।
হজের ইতিহাসে গত বছরেই মিনা দুর্ঘটনায় সর্বাধিক হাজি নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শুধুমাত্র ইরানেরই ৪০০ জন হাজি নিহত হয়েছে।