বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হরিয়ানায় নির্বাচন ইস্যুতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করার পরে গুলাম নবী আজাদ বলেন, কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব গত তিন সপ্তাহ ধরে গৃহবন্দী রয়েছে। ফল চাষিরা তাদের ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন। পর্যটকরা সেখানে যেতে পারছেন না। সরকার সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে।
এদিকে, কর্মকর্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে আজ গণমাধ্যমে প্রকাশ, জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে কমপক্ষে ৪ হাজার ১০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করেছে। এ পর্যন্ত ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জননিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। এদের প্রায় সবাইকে উপত্যকার বাইরে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সরকারিভাবে আটকের প্রকৃত সংখ্যা না জানানো হলেও আটকের প্রকৃত সংখ্যা ৪ হাজার ১০০’রও অনেক বেশি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বিভিন্ন থানার লক-আপ ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরে বহু তরুণকে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরগুলোতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বহু পরিবারই জানে না নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সন্তান কোথায় আছে।
এদিকে, সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে আজ এনডিটিভি জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ৪০ জন নেতা ও এক হাজারেও বেশি পাথর নিক্ষেপকারীকে আটক করা হয়েছে। গত ২৪ দিনে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক ২ মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। গত ৪ সপ্তাহে বিভিন্ন স্থান থেকে ৪০-এর বেশি মূলধারার রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়েছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহ সরকারের মন্ত্রীপরিষদের ৭০ বছরের কম বয়সী সমস্ত মন্ত্রীকে নিজ বাসায় গৃহবন্দি করা হয়েছে। কেনোও কোনও নেতাকে সেন্টৌর হোটেলে আটক রাখা হয়েছে। কিছু নেতার বাড়ির লোকজন তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরেই তাঁদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে। যদিও সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার থেকে কেউ সাক্ষাৎ করতে আসেননি। বিরোধী নেতা মুহাম্মাদ ইউসুফ তারিগামীকে তাঁর বাসায় গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
এসব নেতাদের কীভাবে এবং কবে মুক্তি দেয়া হবে এবং কবে তাঁদের গৃহবন্দি অবস্থা শেষ হবে সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও রোডম্যাপ এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। ফলে এদের মুক্তি বিলম্বিত হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। পার্সটুডে