IQNA

লালমনিরহাটে মোগল আমলের নিদাড়িয়া মসজিদ

0:02 - July 09, 2021
সংবাদ: 3470283
তেহরান (ইকনা): লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে দাঁড়িয়ে তিন শতাব্দীকালের প্রাচীন নিদাড়িয়া মসজিদ। মসজিদের দেয়ালে স্থাপিত শিলালিপি অনুযায়ী ১১৭৬ হিজরি সনে মোগল সুবেদার মাসুদ খাঁ ও তাঁর পুত্র মনসুর খাঁর তত্ত্বাবধানে মসজিদটি নির্মিত হয়। এর নির্মাণ সামগ্রী ও স্থাপত্যরীতি মোগল স্থাপত্য শিল্পের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

এক কক্ষবিশিষ্ট নিদাড়িয়া মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট। মসজিদের উপরিভাগে এক সারিতে তিনটি গম্বুজ ও চারকোণে নকশা করা চারটি বুরুজ রয়েছে। তিনটি দরজা ও ছোট-বড় ১২টি মিনার মসজিদের শোভাবর্ধক।

মসজিদের সামনে আছে একটি দোচালা ঘর ও বিশাল ঈদগাহ মাঠ। ধারণা করা হয়, মসজিদের সামনের দোচালা ঘরটি ছিল ইমামের আবাসস্থল। প্রচলিত আছে, দাড়িহীন সুবেদার মনসুর খাঁ মানত করেছিলেন তাঁর মুখে দাড়ি গজালে একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন।

পরবর্তী সময়ে সুবেদারের মুখে দাড়ি উঠলে প্রতিশ্রুতিস্বরূপ তিনি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তাঁর দাড়িহীনতার কারণেই ফার্সি ভাষায় মসজিদটির নাম নিদাড়িয়া করা হয়েছে। কিন্তু শিলালিপিতে যেহেতু বলা হয়েছে তাঁর পিতা মাসুদ খাঁ মসজিদের কাজ শুরু করেছিলেন তাই নামকরণের ইতিহাসকে ভিত্তিহীন বলেই মনে হয়।

বাবার শুরু করা মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেন সুবেদার মনসুর খাঁ। তিনি মসজিদের জন্য আরো ১০.৫৬ একর জায়গা দান করেন। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, মসজিদের পাশে থাকা বাঁধানো কবরটি মনসুর খাঁর।

কালের বিবর্তন ও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে লালমনিরহাট জেলা শহরের অন্যতম এই মোগল স্থাপত্যের সৌন্দর্য অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে। সেখানে স্থানীয় মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ আদায় করে থাকেন।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া ও বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন/ কালের কণ্ঠ

captcha